দেশের খবর: বিলুপ্ত হওয়া ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬ (২) ধারায় মামলা গ্রহণ না করতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন শুনানিকালে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত আদেশে অস্তিত্বহীন আইন দিয়ে যেন জনগণকে গ্রেফতার করে হয়রানি না করা হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, এ আইনটি যেহেতু বাতিল। এ আইনের কোনো অস্তিত্ব নেই। সেহেতু এ আইনের মামলা নেয়া বেআইনি।’
এ আইনের বিবরণে জানা যায়, ১৯৯০ সালে এইচ এম এরশাদ সরকারের পরে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ একটি অধ্যাদেশ দিয়ে চুয়াত্তরের আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল করেন। যা বিএনপি ১৯৯১ সালে সংসদে পাস করেছিল।
এরপর ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে ‘ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক’ (প্রধানত সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী) কাজ থেকে বিরত রাখতে ১৬ ধারাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এই অধ্যাদেশসহ ১২২টি অধ্যাদেশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে পেশ করা হয়, কিন্তু তা পাস হয়নি। ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল অবস্থায় থেকে যায়।