বিদেশের খবর: ‘ভারতে বসবাসরত ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ও রোহিঙ্গারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশ না ছাড়লে তাদের গুলি করে হত্যা কর। এটা করা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’ ৩০ জুলাই সোমবার আসামে ভারতীয় নাগরিকদের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা (এনআরসি) তালিকা প্রকাশের একদিনের মাথায় মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করলেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এমপি রাজা সিং। ওই তালিকায় বাদ পড়েছে রাজ্যের ৪০ লাখ মানুষের নাম। এদের বেশিরভাগই মুসলিম।
এদিন বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হন বিজেপি নেতা অমিত শাহও। তিনি বলেন, এনআরসি তৈরি করা হয়েছে শরণার্থীদের চিহ্নিত করার জন্য। ১৯৮৫ সালে এই উদ্দেশ্যেই রাজীব গান্ধী আসাম অ্যাকর্ড তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেটা কার্যকর করার সাহস দেখাতে পারেননি। মোদি সরকার সেই সাহস দেখাতে পেরেছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মোদি সরকার সতর্ক রয়েছে। এ ইস্যুতে সরকারের কোনও নমনীয়তা নেই। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুর নাম নিয়ে প্রকৃতপক্ষে আসামের নাগরিক তালিকা থেকে বাদপড়া ৪০ লাখ বাসিন্দার ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে; সেদিকে ইঙ্গিত করেছেন কিরেন রিজিজু।
অন্যদিকে, অসমে ৪০ লাখ মানুষ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই পদক্ষেপকে ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস। দলটি বলছে, নাম, পদবী ধরে ধরে তালিকা থেকে মানুষজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি, জি নিউজ, কলকাতা ২৪।