ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: অ্যালিসা কারসন। ২০৩৩ সালে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো মানবদের একজন হিসেবে মঙ্গলে পা দেবেন। ৩ বছর বয়সে কার্টুন সিরিজে মঙ্গল গ্রহের বিষয়ে জানার পর বাবাকে বলেছিলেন, ‘আমি মহাকাশচারী হতে চাই এবং এসব মানুষদের মতো মঙ্গলে যেতে চাই।’
বর্তমানে ১৭ অ্যালিসা সেই ইচ্ছাপূরণের পথে প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছেন। এ বয়সে মহাকাশচারী হয়ে উঠতে যতটুকু প্রশিক্ষণ নেয়া যায় তার সবই নিয়েছেন অ্যালিসা। তিনি বলেন, অন্যদের মতোই আমি সবকিছু করেছি, ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করেছি। শিশুরা শিক্ষক, প্রেসিডেন্ট হতে চায়। আমি সবসময় ভেবেছি আমি মহাকাশচারী হব, মঙ্গলে যাবো। সেখান থেকে ফিরে এসে শিক্ষক কিংবা প্রেসিডেন্ট হব।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা অ্যালিসাকে বেছে নিয়েছিল অনেক দিন আগেই। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নাসাতে আবেদন করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানার বাসিন্দা অ্যালিসা।
মঙ্গলের মহাকাশযানের ভিডিও ইউটিউবে দেখা ছিল অ্যালিসার নেশা। ঘরের দেওয়াল জুড়ে মঙ্গলের এক বিশাল ম্যাপ। আমেরিকার অ্যাডভান্সড স্পেস অ্যাকাডেমি থেকে সবচেয়ে কম বয়সে ডিগ্রি নিয়েছেন। নাসার সব স্পেস ক্যাম্প সম্পন্ন করে রেকর্ড করেছে অ্যালিসা। এছাড়া অ্যালিসাই একমাত্র যে নাসার পাসপোর্ট প্রোগ্রাম শেষ করেছে। অর্থাৎ, নাসার সব ভিজিটর সেন্টার পরিদর্শন করেছে। সারা আমেরিকার ন’টি অঙ্গরাজ্যে নাসার ১৪টি ভিজিটর সেন্টার রয়েছে।
ইংলিশ, চাইনিজ, ফ্রেঞ্চ, এবং স্প্যানিশ অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে অ্যালিসা। এছাড়া বায়োলজি, মাইক্রো বায়োলজি নিয়ে করতে হচ্ছে পড়াশোনা। মঙ্গলের মাটি আর পৃথিবীর মাটির তফাৎটা বুঝতে হচ্ছে। সেখানে কি গাছ ফলানো সম্ভব? সেই গবেষণাতেও মন দিয়েছে অ্যালিসা।
২০৩৩ সালে যান প্রযুক্তি তৈরি হয়ে যাবে তখন অ্যালিসার বয়স হবে ৩২, মহাকাশচারী হিসেবে সেটাই আদর্শ বয়স। যখন সে ফিরে আসবে তখন তার বয়স হবে ৩৬। ততদিন পর্যন্ত প্রেমে পড়াও মানা। তার কথায়, এটা একটা বিপজ্জনক মিশন, তাই কারও প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকলে, অভিযান থেকে মনোযোগ সরে যেতে পারে।