বিদেশের খবর: ভারতে গরু-রক্ষার নামে গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা যেন থামছেই না। আর এতে করে দেশটিতে একের পর এক সন্দেহের শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষজন।
দেশটির রাজস্থানে সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে গরুচোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গরুচোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা প্রসঙ্গে এক হামলাকারী জানিয়েছে, ‘সে গরু কাটছিল, তাই তাকে কেটে দিয়েছি।’
কয়েকদিন আগেই রাজস্থানে ওই মুসলিম ব্যবসায়ীকে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, পুলিশের ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে ওই ব্যক্তি মারা যান।
এদিকে এইসব ঘটনার তদন্তে এনডিটিভি’র প্রতিবেদকরা আরএসএস এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের গবেষণাকারীর ছদ্মবেশ নিয়ে দুই রাজ্যের দু’টি গণপিটুনির ঘটনার স্থান পরিদর্শন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ন’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে চারজন ছাড়া পেয়ে যায় জামিনে। ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত রাকেশ শিশোদিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যায় এনডিটিভির দলটি।
আদালতে লিখিতভাবে শিশোদিয়া জানিয়েছিল, এই ঘটনায় তার কোন ভূমিকা নেই। তিনি কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়। কিন্তু গোপন ক্যামেরায় নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। দেশটির জেল কর্তৃপক্ষের কাছেও নিজের অপরাধ সে স্বীকার করেছিল। পাঁচ সপ্তাহ জেলে থাকার পর এখন ওই অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত।
শিশোদিয়া জানিয়েছে, জেলারের সামনেই বলেছি যে, ওরা গরু কাটছিল, তাই ওদের কেটে ফেলেছি আমি।
এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, গরু রক্ষার নামে হিংসা ছড়ালে তা কখনোই বরদাস্ত করা হবে না। গরু রক্ষার জন্য আইন রয়েছে৷ সেই আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে যে অপরাধ করছে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷