মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থল বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার সকালে বেনাপোল বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারি। বন্দরের অভ্যন্তরে রাখা কোটি কোটি টাকার আমদানিকৃত মালামাল চুরিরোধ ও কেউ যাতে নাশকতার কোনো ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছে বন্দরের নিয়োগকৃত বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, আনসার ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর রাত পর্যন্ত মালামাল লোড-আনলোড চলে। এর পরপরই বন্দরের শেডগুলো সিল করে দেওয়া হয়। তবে টানা ছুটিতে বন্দরের অনেক কর্মকর্তা নিজ নিজ বাড়িতে গেছেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে। বন্দরের কার্যক্রম আবার শুরু হবে আগামী রবিবার থেকে। এই ৫ দিন টানা ছুটিতে বন্দরের অভ্যন্তরে ও বন্দরের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বন্দরটিকে পাহারা দিচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পাদন হয় এই বন্দর দিয়ে। বন্দরটিতে সব সময় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য মজুদ থাকে, যার বাজার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। ছুটির মধ্যে সাধারণত দেখা যায় নাশকতা বা দুরর্ঘটনামূলক কর্মকান্ড বন্দরে ঘটে। এজন্য এই সময়টাতে নজরদারি বেশি দরকার।
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বদিউজ্জামান বলেন, এই বন্দরে দেশের কয়েক শ আমদানিকারকের কোটি কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। টানা ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ। এ সময় যাতে কেউ সেখানে প্রবেশ করে পণ্যের ক্ষতি কিংবা কোনো রকম নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটাতে পারে এজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। একই কথা বলেন বন্দরের বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা পিমার কমান্ডার শহিদুল ইসলাম।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, টানা ছুটিতে বেনাপোল স্থল বন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে আনসার ব্যাটালিয়ন ও বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা পিমাকে সতর্ক রাখা হয়েছে। দিনের পাশাপাশি রাতেও পুলিশের টহল দল কাজ করছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, টানা ছুটিতে যাতে বন্দরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থাকে অন্য সময়ের চেয়ে আরো বেশি নজরদারিতে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।