আশাশুনি ব্যুরো / বড়দল প্রতিনিধি : আশাশুনিতে জোর পূর্বক সম্পত্তি জবর দখল করে খেলার মাঠের নামে সাইনবোর্ড বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের কেয়ারগাতী মৌজার জেএল ৯৬, খতিয়ান ১/১১৯ ও দাগ নং ৩৬৭ এবং ৩৮৩ এর ১ একর ৩২ শতক জমি নিয়ে জামাল নগর গ্রামের মোতালেব সরদারের পুত্র আজাহারুল সরদারের সাথে খেড়ুয়ার ডাংগা গ্রামের ছামছুর ফকিরের পুত্র কবিরুল ফকির, জাফর আলী ফকিরের পুত্র ফরিদ ফকির, মৃত : লেয়াকত ফবিরের পুত্র বিল্লাল ফকির ও বি এন পি নেতা শুশিল কুমার শীলের পুত্র পয়তাল শীলের সাথে বিবাদ চলে আসছিলো।
আজাহারুল সরদার জানান, বিবাদী গং এর সাথে উক্ত সম্পতি নিয়ে কোটে মামলা চলছে। ১৯৯৩ সাল থেকে একসনা ডিসিয়ারের মালিব হওয়ায় আমি সরকারের পক্ষ নিয়ে মামলা চালিয়ে আসছি। ইতমধ্যে সরকারের পক্ষে আমি কিনটি ডিগ্রিও পেয়েছি। বিবাদীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে লোকজন নিয়ে জমি জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বুধহাটা, আশাশুনি, তোয়াড়ডাংগা ও বেয়ারগাতী থেকে শতাধিক ভাড়াটিয়া মাস্তান নিয়ে এসে আমার জমিতে মাঠের নামে সাইনবোর্ড বসানোর চেষ্টা করে। এসময় আমি তাদেরকে বাধাদিলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনা স্থান ত্যাগ করে। বিবাদী কবিরুল ফকির জানান, আমারা মাঠের জন্য ঐ জায়গা টা নির্ধারন করেছি। আজকে আমাদের সাইনবোর্ডের ছবি কেন্দ্রিক কিছু সমস্যা ছিলো আগামি কাল প্রথান মন্ত্রীর ছবিসহ সাইবোর্ড নিয়ে আমরা আবারও সেখানে যাব এবং সাইনবোর্ড বসিয়ে আসবো। বিষয়টি নিয়ে বড়দল ভুমি অফিসসের ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তা রনজিৎ মন্ডলের।দ সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইচ্ছে করলেই তো আর সরকারি সম্পত্তিতে জন সাধারনের জন্য খেলার মাঠের সাইনবোর্ড লাগানো যায় না। এর জন্যও কিছু নিয়ম নীতির প্রয়োজন আছে। আশাশুনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ জানান, ঘটনা জানার পর সেখানে এস আই প্রদীপ কুমারকে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি এখন শান্ত।