সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ ম্যাগাজিনের দেওয়া মর্যাদার পুরস্কারটি জিতলেন রোনালদোই। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি হয়েছেন দ্বিতীয়, আর তিন নম্বর জায়গাটি পেয়েছেন আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান।
২০১৬ সালের ব্যালন ডি’অর উঠছে কার হাতে-এ নিয়ে আলোচনার কমতি ছিল না। যদিও বাতাসে বেশি শোনা যাচ্ছিল একটি নামই। এমনকি সাবেক-বতর্মান ফুটবলার থেকে শুরু করে ফুটবল বিশ্লেষকরাও ফেভারিট মানছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ ম্যাগাজিনের দেওয়া মর্যাদার পুরস্কারটি জিতলেন রোনালদোই। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি হয়েছেন দ্বিতীয়, আর তিন নম্বর জায়গাটি পেয়েছেন আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান।
২০০৯ সাল পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর এককভাবেই দিয়েছে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। ২০১০ সাল থেকে অবশ্য ফিফার সঙ্গে মিলে গত বছর পর্যন্ত তারা দিয়েছে ফিফা-ব্যালন ডি’অর। দুটো পুরস্কার একসঙ্গে কিংবা আলাদা-দুটো ফরম্যাটেই পুরস্কারটি পুনরুদ্ধার করলেন রোনালদো। গত বছর ফিফা-ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন মেসি, আবার সবশেষ ২০০৯ সালে যখন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ এককভাবে দিয়েছিল পুরস্কারটি, সেবারও জিতেছিলেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। সেই তাকে পেছনে ফেলে এবার পুরস্কারটির একক অনুষ্ঠান আলোকিত করলেন রোনালদো। ফিফা যোগ হওয়ার আগে ২০০৮ সালে সবশেষ এবং একমাত্র ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন পর্তুগিজ যুবরাজ।
মেসিকে পেছনে ফেলে আবারও বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খ্যাতি জেতায় রোনালদো এ নিয়ে চতুর্থবার জিতলেন ব্যালন ডি’অর। ‘সোনার বল’টি চতুর্থবার জিতে চলে গেলেন মেসির আরও কাছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। গতবার তার কাছে হারা রোনালদো ২০০৮ সালে ব্যালন ডি’অর জেতার পর ফিফার সঙ্গে মিলিত হয়ে দেওয়া পুরস্কারটি জিতেছেন ২০১৩ ও ২০১৪ সালে। সংখ্যাটি চারে নিয়ে গেলেন ২০১৬ সালের ব্যালন ডি’অর হাতে তুলে। গোল ডটকম