দেশের খবর: ঘূর্ণিঝড় তিতলির পরপরই কার্যত বিদায় নিয়েছে বর্ষাকাল। আসছে শীতকাল। তবে এখনো ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা কাটেনি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নভেম্বরে সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময় ১ থেকে ২টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্র এ মাসেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে ক্রমহ্রাসমান হারে। কিন্তু নিম্নচাপের দুটির মধ্যে একটির ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের পুরো শীতকাল বিরাজ করবে কয়েকটি শৈত্য প্রবাহ নিয়ে। এরমধ্যে একটি মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহের ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যারোমিটারের পারদ নেমে আসতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এ শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাবে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে। আর ডিসেম্বরের শেষে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় শেষরাতে মাঝারি ধরনের ঘন থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এ মাসেই তাপমাত্রা ক্রমহ্রাসমান হারে কমবে। ইতিমধ্যে কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে ঠাণ্ডার অনুভূতি। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবেই এমনটি হচ্ছে। ২০১৭ সালের মতো এবার তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে আসবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে, তিতলির পর বেশ ভালোভাবে নেমে এসেছে ঠাণ্ডার আমেজ। সকালে-বিকেলে মোটামুটি মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। অনেক এলাকাতেই রাতে কাঁথার বদলে নামাতে হয়েছে লেপ-কম্বল। ঢাকাতেই ভোর এবং সন্ধ্যায় কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে।
গ্রামাঞ্চলে এমন অবস্থা বিরাজ করলেও এখনো তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই রয়েছে। কোথাও কোথাও এখনও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মাদারীপুরে, ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।