বিদেশের খবর: চালক-যাত্রীর মারামারির কারণেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইয়াংশি নদীতে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত এবং দু’জন নিখোঁজ হয়েছেন। রোববার চীনের চংকিং শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিন দিনের বিরামহীন তল্লাশির পর বুধবার রাতে বাসটি নদী থেকে তোলা হয়। বাস থেকে উদ্ধার করা ব্ল্যাকবক্স রেকর্ডিং ডিভাইস থেকে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম চায়না ডেইলির বরাতে শুক্রবার খবর দিয়েছে বিবিসি।
বাসটির ব্ল্যাকবক্স রেকর্ডিং ডিভাইস এবং অন্য প্রমাণের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, লিউ পদবিধারী এক নারী যাত্রী তার গন্তব্যে নামতে ব্যর্থ হওয়ায় চালককে তাৎক্ষণিক গাড়ি থামাতে বলেন। কিন্তু রান পদবিধারী এই চালক বাস থামাতে রাজি হননি।
এতে রেগে গিয়ে ৪৮ বছর বয়সী লিউ তার হাতে থাকা সেলফোন দিয়ে চালকের মাথায় আঘাত করেন। এই মারামারির সময় বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ৪৩ বছর বয়সী চালক।
একপর্যায়ে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে ব্রিজ ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যায়। একটি উদ্ধারকারী দল ১৩ জনের মরদেহ খুঁজে পায়। তারা তাদের রোববার রাতে ইয়াংশি নদীতে পড়ে যাওয়া বাসের যাত্রী বলে নিশ্চিত করে।
কিন্তু এখনও দুই যাত্রী নিখোঁজ আছেন এবং তাদের উদ্ধার কাজ চলছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি নদী থেকে তোলা হয়। এদিন বাসটি থেকে ব্ল্যাকবক্স রেকর্ডিং ডিভাইস উদ্ধার করা হয় এবং তা স্থানীয় সরকারি নিরাপত্তা ব্যুরোর কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এখনও তদন্ত চলছে।
চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাসটি ছোট এবং নদীর পানির গভীরতা অনেক বেশি হওয়ায় উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা খুবই কঠিন ছিল।
এ দুর্ঘটনায় ঝাও হু নামের একজন আইনজীবী বলেছেন, বাস অপারেটর এবং চালকের সঙ্গে মারামারি করা এই নারীর পরিবারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার আছে নিহতদের পরিবারের।