অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রামে স্বামীকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এয়ার হোসেন নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। একাধিকবার ধর্ষণের পর অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ওই গৃহবধূ।
তিনি বর্তমানে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূর স্বামী চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর)’র কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত এসআই এয়ার হোসেন সিএমপি’র বায়েজীদ থানায় কর্মরত রয়েছেন।
সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ‘এসআই এয়ার হোসেন বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর স্বামী ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
এসআই এয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ দম্পতি আমার সম্মানহানি করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
তাদের সাথে বসে আমি নিজেই বিষয়টা মিমাংস করব। ’
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমার স্ত্রীকে গামের্ন্টেসে চাকরি এবং আমাকে একটি দোকান খুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এয়ার হোসেন আমাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে। গত ১৮ আগস্ট আমাকে ইয়াবা ও অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর জিম্মি করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ওখানে টানা ৯ দিন রেখে ধর্ষণ করে। এরপর পালিয়ে আসলেও ফের তার কাছে যাওয়ার জন্য ফোন করতে থাকে। পরে অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় সে। বর্তমানে নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই হাসপাতালে এক চিকিৎসক বলেন, গত ৩০ অক্টোবর বিষ খাওয়া ওই নারী আমাদের মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশংকামুক্ত অবস্থায় আছেন।