আজিজুল ইসলাম: সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে ৭মাসের অন্তসত্ত্বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানায়, কোমরপুর গ্রামের আবুল বিশ্বাসের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কন্যা (২৫) এর সাথে পাশের বাড়ির সিরাজ বিশ্বাসের পুত্র কাশেম (৩৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল। তাদের সম্পর্কের সূত্র ধরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গর্ভের বাচ্চা দিন দিন বড় হতে থাকে। লম্পট কাশেম তাকে বিয়ে না করে গত ২৭ আগস্ট শনিবার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নিয়ে নিজের অপকর্ম ঢাকতে বুধহাটা বাজারে একটি ক্লিনিকে নিয়ে অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়। এসময় তার কাজে সহযোগী হিসাবে ছিলেন একই গ্রামের হাসানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আলেয়া খাতুন ও মৃত আইনউদ্দিনের পুত্র জলিল(৩৭) বলে স্থানীয়ারা জানায়। তারা আরও জানায়, কাশেম সম্পর্কে মেয়েটির চাচা হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই আব্দুল কাদের ভিকটিমের বাড়িতে যান ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন বলে ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়। গর্ভের শিশুটি দুনিয়ার আলো, বাতাস দেখতে পেলো না। বঞ্চিত হল মায়ের আদর ও বাবার স্নেহ থেকে। শিশুটির কি দোষ ছিল? কেন তাকে জন্মানোর আগে ঝরে যেতে হলো? এমনি প্রশ্ন সমাজের বিবেকবানদের কাছে সচেতন মহলের। এদিকে, একাধিক সূত্রের দাবি, লম্পট কাশেম বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভিকটিমের পরিবার ও বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করার জন্য মাঠে নেমেছে। এ ব্যপারে কাশেমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাই সচেতন মহলের দাবি সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তদন্তপূর্ব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের।
পূর্ববর্তী পোস্ট