রাজনীতির খবর: আগামী নির্বাচনে জিতলে সবাই মিলে টাকা ভাগ করে খাবেন বলে দলের এক সভায় ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। গত শনিবার উপজেলার নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংসদ বলেন, ‘আমাকে মোছলেম উদ্দিন সাহেব বলেছেন টাকা দাও। আমি টাকা দিয়েছি। অনেকবার টাকা দিয়েছি। কুতুব উদ্দিন সাহেবকে টাকা দাও, আমি টাকা দিয়েছি। খোরশেদ সাহেবকে টাকা দাও, টাকা দিয়েছি। ভবিষ্যতে, আমি আবার এমপি হলে আমরা সবাই ভাগ করে, বাঁটোয়ারা করে খাব ইনশাল্লাহ।’
মোছলেম উদ্দিন হলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। কুতুব উদ্দিন চৌধুরী হলেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর খোরশেদ আলম লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সভায় দুজন উপস্থিত ছিলেন। মোছলেম উদ্দিন ছিলেন প্রধান অতিথি। সঞ্চালনা করেন কুতুব উদ্দিন। সাংসদের এই বক্তব্যের ভিডিওক্লিপটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে দলের ভেতরে–বাইরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ নদভী বলেন, ‘জামাতিরা এটা অপপ্রচার করছে। আমি বক্তব্য দিয়ে আবার সংশোধন করে বক্তব্য দিয়েছি। আমি বলেছি বরাদ্দ দেওয়ার কথা। বিভিন্ন প্রকল্প ভবিষ্যতে এলে তা সবাই মিলে ভাগ করে অর্থাৎ সমন্বয় করে ভাগ করব, এটা বোঝাতে চেয়েছি। বক্তব্যের পুরো অংশ প্রকাশ করা হয়নি।’
সাংসদের বক্তব্যের বিষয়ে মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘উনি (নদভী) বক্তব্যে বলেছেন, মোছলেম ভাইকে সাংগঠনিক কাজের জন্য টাকা দিয়েছি। সংগঠনকে সহযোগিতা করার জন্য টাকা দিয়েছেন, সে কথা তিনি বলেছেন।’ সবাই ভাগ–বাঁটোয়ারা করে খাওয়ার প্রসঙ্গে মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এ ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য সেখানে শুনিনি।’
তবে সভার সঞ্চালক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সাংসদ ভিডিওতে যেভাবে বলেছেন ওভাবেই বক্তব্যটি রেখেছেন। তখন আমরা সবাই বিব্রত হয়ে পড়ি। পাশ থেকে স্থানীয় এক চেয়ারম্যান উঠে সাংসদকে কানে কানে কী যেন বলেন। তারপর সাংসদ বলেন, আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি আসলে বিভিন্ন সময় বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছি।’ কুতুব উদ্দিন আরও বলেন, ‘সাংসদের সঙ্গে পাঁচ বছরে দু–একবার দেখা হয়েছে। কোনো সময় বরাদ্দ নিইনি। এটা আমার জন্য বিব্রতকর।