রাজনীতির খবর: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন কর ফাঁকি দিয়েছেন কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁঁইয়া।
রোববার সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কামাল হোসেন কর ফাঁকি দিয়েছেন কি-না, তা জানতে চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ১৯ নভেম্বর এনবিআরকে চিঠি দেয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপরোক্ত মন্তব্য করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে, সেটি বিবেচনায় রেখেই এনবিআর কাজটি করছে। এ জন্য কিছু সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনে আছেন বলেই কামাল হোসেনকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি-না- এমন প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, না; তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। একাদশ সংসদ নির্বাচনে কামাল হোসেন নিজে অংশ না নিলেও বিএনপিকে নিয়ে তার নেতৃত্বে গড়ে তোলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশ নিচ্ছে।
প্রসঙ্গ নতুন ভ্যাট আইন : এনবিআর চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন ভ্যাট আইনে তিনটি হার হতে পারে এবং ২০১৯ সালের জুলাই থেকে এ আইন কার্যকর হবে। নতুন আইনে কিছুটা সংস্কার করা হচ্ছে- এ কথা উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আরও বলেন, সব পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ কার্যকর হলে একটু অসুবিধা হবে। সে জন্য এর পরিবর্তে কয়েকটি হার নির্ধারণের চিন্তাভাবনা চলছে। সম্ভবত তিনটি হার করা হবে। এতে মানুষের ওপর ভ্যাটের চাপ কমলেও রাজস্ব আহরণ বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। তবে হারগুলো কত হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
উল্লেখ্য, নতুন ভ্যাট আইনে সর্বক্ষেত্রে অভিন্ন বা একক হারে ভ্যাট হার নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এটি ১৫ শতাংশ। কিন্তু একটি হার কার্যকর হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ বিষয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন ব্যবসায়ীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হওয়ার কথা। সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধের জন্য এবার ১৪৪ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।