খেলার খবর: মেক্সিকোর ফুটবলে এখন তারা ঝলকাচ্ছে। দেশটির ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর কোচ হিসেবে পেয়েছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার মতো মহাতারকাকে। দ্বিতীয় বিভাগের দল দোরাদো দে সিনালোকে সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন ম্যারাডোনা। কিন্তু দল সামলাতে গিয়ে ঘর সামলানো হচ্ছে না তাঁর। আর্জেন্টিনায় না থেকে মেক্সিকোতে পরে আছেন। আর এ কারণে তাঁকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন তাঁর বান্ধবী রোসিও ওলিভিয়া।
৫৮ বছর বয়সী ম্যারাডোনা ও ওলিভিয়ার বয়সের ব্যবধান ৩০। ২০১২ সালে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। সাবেক ফুটবলার বলে ওলিভিয়ার সঙ্গে ম্যারোডোনার জমেছিলও ভালো। সম্পর্কের টানে বান্ধবীকে বুয়েনেস এইরেসের বেলা ভিস্তায় একটি বাড়িও কিনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু সম্প্রতি ওলিভিয়া শুধু ছয় বছরের সম্পর্কেই দাঁড়ি টানেননি, ম্যারাডোনাকে বের করে দিয়েছেন তাঁর কিনে দেওয়া বাড়ি থেকে! বিচ্ছেদের ঘটনায় নাকি ভেঙে পড়েছেন ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টিনার এল নুয়েভ চ্যানেলের তোদাস লাস তার্দেস অনুষ্ঠানে এমন খবরই শুনিয়েছেন সাংবাদিক লিও পেকোরারো। সাংবাদিকের দাবি, ‘ম্যারাডোনা রোসিওকে বেলা ভিস্তায় যে বাড়ি উপহার দিয়েছিলেন, সেখান থেকে বের করে দিয়েছে বান্ধবী। সাবেক নম্বর টেন নিজ থেকে যেতে চাননি। তাদের মধ্যকার সম্পর্ক শেষ।’ ঘটনার সূত্রপাত নাকি ওলিভিয়ার দেওয়া এক সাক্ষাৎকার। এই সাবেক খেলোয়াড় ইএসপিএন রেদেস-এ কথাবার্তার একপর্যায়ে নিজেকে ‘সিঙ্গল’ দাবি করেছিলেন। পেকোরারোর দাবি, এতে নাকি ক্ষেপে গিয়েছেন ম্যারাডোনা। সপ্তাহান্তে ছুটির দুদিন নাকি ঝগড়া করেই পার করেছিলেন এ দুজন। এরপরই ম্যারাডোনাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন ওলিভিয়া।
তোদাস লাস তার্দেস অনুষ্ঠানের আরেক সঞ্চালক জানিয়েছেন, ‘সে (ওলিভিয়া ) কোনোভাবেই মেক্সিকো যেতে রাজি হয়নি। সে আর্জেন্টিনাতেই থাকতে চায়।’ আর্জেন্টিনায় থাকতে চাওয়ার কারণেই ম্যারাডোনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া নাকি ম্যারাডোনাতে আর মন বসছিল না ওলিভিয়ার? আর ম্যারাডোনাই-বা নিজের মনের শুন্যস্থান পূরণ করতে এবার কাকে বেছে নেবেন?