রাজনীতির খবর: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
ইসির উপসচিব আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে ব্যবস্থা নেওয়ার পর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের পাঠানো আরও কয়েকটি চিঠির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে ইসি। এতে ওই চিঠিগুলো পুলিশকে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আইজিপিকে একটি চিঠিতে প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও সন্ত্রাসী কর্তৃক আক্রমন বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ তারিখ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত বেশ কয়েকটি চিঠি পাওয়ার পর ইসি সচিবালয় থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাঠানো ওইসব চিঠিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলা, পুলিশি হয়রানি, গুলি ছোড়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ইসির কাছে প্রতিকার দাবি করা হয়। সোমবারও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
এদিকে, নোয়াখালীকে বিএনপির প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে দলটির প্রার্থীদেরও ওপর হামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে ইসিতে পাঠানোর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে সোমবার আইজিপিকে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়।
১৬ ডিসেম্বর বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর গুলি, ঢাকা-৮ আসনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা, পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী গোলাম মওলা রনির স্ত্রীর ওপর হামলা, হবিগঞ্জ ও ময়মনসিংহে বিএনপির নেতাদের গ্রেফতার, চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী ড. শাহাদাৎ হোসেনের পক্ষে গণসংযোগের সময় নগর বিএনপির সহ-সভাপতিকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইসির কাছে তার প্রতিকার চাওয়া হয়।
ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হয়রানি ও সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে আরেকটি চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।