স্বাস্থ্য ও জীবন: মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্স ইন স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে দৌড়ানোর সময় আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে এন্ডোক্যানাবিনয়েডের মতো ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময়ই লাগে না। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদের অবসান ঘটাতেও দৌড়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
তাই এ নিয়ে একাধিক গবেষণা করা হয়েছে। যাতে দেখা গেছে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট, অর্থাৎ দিনে কম-বেশি ৩০ মিনিট যদি হাল্কা চালে একটু দৌড়াতে পারেন, তাহলে সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।
সেই সঙ্গে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, ওজন বৃদ্ধি, ব্লাড প্রসোর, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগ হবার সুযোগও কমে যায়।
সাইকোনমিক বুলেটিন অ্যান্ড রিভিউ পত্রিকায় এই সম্পর্কিত প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস করলে মস্তিষ্কের অন্দরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে ব্রেনের উপর বয়সের ছাপ পরতেই পারে না। সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে।
নিয়মিত দৌড়ালে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরর প্রতি অংশের কর্মক্ষমতা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ুও বাড়ে।
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে দৌড়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
আসলে এই শরীরচর্চাটি করার সময় দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
তাই যত দিনই বাঁচুন না কেন, সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে রোজের রুটিনে কিছুটা সময় দৌড়াতে ব্যয় করতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, চিকিৎসকেরা এমনটাও বলে থাকেন যে যারা ইতিমধ্যেই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও যদি নিয়মিত কিছু সময় দৌড়াতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার মেলে।