অনলাইন ডেস্ক: মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়া ১৪ দলের শরিকদের বিরোধী দলে থাকাটাই ভালো বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসবেন ১৪ দলের শরিকরা। সেটা সরকারে জন্যেও ভালো। তাদের জন্যেও ভালো। শরিকরা বিরোধী দলে থাকলে সমালোচনা থেকে সরকার শুদ্ধ হতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ দেখতে এসে এসব কথা বলেন কাদের।
১৪ দলীয় জোটকে আদর্শিক ও নির্বাচনী জোট এবং মহাজোটকে কৌশলগত জোট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মহাজোট বা ১৪ দলে কোনো টানাপোড়েন নেই, ভাঙনের সুর নেই, বিভেদ নেই। তবে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে তা আলোচনা করে নিরসন করা হবে।’
বিএনপিকে বেপরোয়া গাড়ির চালকের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এখন লেজেগোবরে অবস্থা। ঐক্যফ্রন্টে ভাঙনের সুর বেঁজে ওঠেছে। তবে পরাজিত বিএনপি বেপরোয়া হলেও সরকার ধৈর্যশীল।’
‘‘আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়ের সাথে দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি বিশাল দায়িত্বও রয়েছে।’’
আগামী ১৯ জানুয়ারি স্মরণকালের বিশাল সমাবেশ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গণজোয়ারের মত ১৯ তারিখেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে।’
২০০৫ সালে জোট গঠনের পর অষ্টম, নবম ও দশম সংসদ জাতীয় নির্বাচনে ১৪ দলের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোটের লড়াইয়ে জিতে সরকারেও শরিকদের রেখেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদে এক সঙ্গে নির্বাচন করেও ১৪ দলের কোনো শরিককে এবারের মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। তা নিয়ে শরিক দলের কেউ কেউ প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।