তাকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। কখনও বলা হয়, সে নাকি গুরুতর অসুস্থ, মৃত্যু নাকি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আবার পরক্ষণেই জানা যায়, করাচিতে পাকিস্তান সরকারের আতিথ্যে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম।
তাকে নিয়ে কৌতূহল এমন পর্যায়ে, যে রেহাই নেই তার পুত্র-কন্যাদেরও। তারা কী করছে, সে দিকেও রয়েছে নজর। দাউদের আনুষ্ঠানিক স্ত্রী একজনই। যদিও তার একাধিক রক্ষিতা রয়েছে। বৈধ স্ত্রীর ঘরে তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে।
মেয়েদের নাম মাহরুখ ইব্রাহিম, মেহরিন ইব্রাহিম এবং মারিয়া ইব্রাহিম। ছেলের নাম মইন ইব্রাহিম। ২০০৫ সালে দাউদের বড় মেয়ে মাহরুখের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তি জাভেদ মিঁয়াদাদের ছেলে জুনেইদের বিয়ে হয়। তারপরই ভারতে মিয়াঁদাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
দাউদের দ্বিতীয় মেয়ে মেহরিন ২০১১ সালে বিয়ে করেন পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন শিল্পপতি আয়ুবকে। সংবাদমাধ্যমকে এই বিয়েতে নিমন্ত্রণও করেছিল দাউদ। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢোকার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল কোনো ছবি তোলা যাবে না। দাউদের ছেলে মইনের বিয়েও মেহরিনের বিয়ের কয়েকদিন পরই হয়।
দাউদের ছেলে মইন লন্ডনের পাকিস্তান বংশোদ্ভূত এক শিল্পপতির কন্যাকে বিয়ে করেন। পাত্রীর নাম ছিল সোনিয়া। সবচেয়ে রহস্যময়ী দাউদের আর এক মেয়ে মারিয়া। তার সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। দাউদের বাড়িতে অনুষ্ঠান থাকলে মারিয়া সামনে আসেন ঠিকই, তবে সেই অনুষ্ঠানে কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না। তিনি কী করেন, তা নিয়েও কেউ বিশেষ কিছু জানেন না।