খেলার খবর: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৬ষ্ঠ আসরের প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আজ সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে এভিন লুইসের ব্যাটিং দাপটে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে ইমরুল কায়েসের দল। অন্যদিকে অপেক্ষার পালা আরও দীর্ঘ হয়েছে মাশরাফিদের জন্য। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলতে হবে রংপুর রাইডার্সকে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে (১৭) হাওয়েলের তালুবন্দি করে ৩৫ রানের জুটি ভাঙেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি। এরপর এভিন লুইসের সঙ্গে জুটি জমিয়ে তোলেন এনামুল হক বিজয়। ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্যারিবীয় সেনসেশন এভিন লুইস। ৯০ রানের এই জুটি ভাঙেন পেসার শফিউল ইসলাম। তার বলে ৩২ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ৩৯ রান করা এনামুল হক বিজয় বোল্ড হয়ে যান।
এভিন লুইসের সঙ্গী হন শামসুর রহমান। দুজনেই হাত খুলে খেলতে থাকেন। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ১১ রান। ফরহাদ রেজাকে ছক্কা মেরে জয়ের পথ পরিস্কার করে দেন শামসুর রহমান। শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৫৩ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন এভিন লুইস। অন্যপ্রান্তে শামসুর রহমান অপরাজিত ছিলেন ১৫ বলে চার বাউন্ডারি আর ২ ওভার বাউন্ডারিতে করা ৩৪ রানে।
এর আগে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। দলীয় ১৭ রানে ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মেহেদী মারুফ (১)। দ্রুত রান নিতে গিয়ে রান-আউট হয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন (৩)। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ব্যাটে ঝড় তোলেন রাইলি রুশো। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান গেইল। তবে ৪৩ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৬ রান করে মেহেদী হাসানের বলে থিসারা পেরেরার তালুবন্দি হয়ে ফিরেন এই ক্যারিবীয় দানব। ৩ রান করা রবি বোপারাকে সনজিত সাহা ফেরালে শংকা বাড়ে রংপুর শিবিরে।
ব্যক্তিগত ১৯ রানে ক্যাচ দিয়ে ওয়াহাব রিয়াজের সৌজন্যে বেঁচে যান রাইলি রুশো। পরের ওভারে আবারও রুশোর ক্যাচ ছাড়েন এই পাকিস্তানি তারকা। এই প্রোটিয়া তারকার সঙ্গে জুটি জমে ওঠে ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েলের। ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে ফিরেন ৩১ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় ৪৪ রান করা রুশো। ভাঙ্গে ৭০ রানের দারুণ এক জুটি। শেষদিকে ঝড় তোলেন বেনি হাওয়েল। ২৭ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। ২৮ বলে ৩ চার ৫ ছক্কায় ৫৩* রানে অপরাজিত থাকেন হাওয়েল।
এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। একামাত্র এলিমিনেটর ম্যাচে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সাকিবরা বিদায় করে দিয়েছে চিটাগং ভাইকিংসকে। ঢাকার ফাইনালে ওঠার পথে এখন আরেকটি ধাপ বাকী- ৬ ফেব্রুয়ারি খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। এই ম্যাচে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাকিবদের মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া রংপুর রাইডার্স।