স্বাস্থ্য ও জীবন: ‘পপাই দ্য সেইলর ম্যান’ কার্টুনের কথা মনে আছে? একটি টিনের কৌটায় রাখা ‘স্পিনাচ’ বা পালং শাক খেয়ে পপাই শক্তিশালী হয়ে উঠত নিমিষেই। বাস্তবেও কিন্তু পালং শাক খুবই পুষ্টিকর। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে রান্না করার কারণে এর পুষ্টিগুণ কমে যায় একেবারেই।
সুইডেনের লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে রান্না নয়, পালং শাক সবচেয়ে বেশী পুষ্টিকর কাঁচা অবস্থায় খেলে। কাঁচা পালং শাক খেলে এর পুষ্টিমান বজিয়ে থাকে। নাহলে পালং শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন নষ্ট হয়ে যায়।
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর লুটেইন থাকে। তবে সবচাইতে বেশী থাকে পালং শাকে। লুটেইন চর্বি জমে রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গবেষকরা বিভিন্ন তাপমাত্রায় ভেজে, সেদ্ধ করে এবং ভাপে পালং শাক রান্না করে দেখেছেন যে, স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই পুষ্টিগুণ বেশী থাকে। বেশী তাপে রান্না করলে অন্য অনেক পুষ্টি উপাদানের মতো লুটেইনও নষ্ট হয়ে যায়। বেশী তাপে ফ্রাই প্যানে ভাজি করলে মাত্র দুই মিনিটেই লুটেইন একেবারে কমে যায়।
ইদানীং ব্যস্ততার কারণে প্রতি বেলা রান্না করা সম্ভব হয় না বলে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছে প্রায় প্রতিটি ঘরে। গবেষকরা দেখেছেন, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে পালং শাক গরম করলেও লুটেইন কমে যায়।
তাই গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন রান্না না করে পালং শাক খেতে। স্মুদি তৈরি করে অথবা সালাদে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। সঙ্গে ক্রিম, দুধ অথবা দই যোগ করে নিলে খাবারটা আরও পুষ্টিকর হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।