খেলার খবর: টাইগারদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ২-০ ব্যাবধানে সিরিজ জিতেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করে বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য তারা করতে নেমে ৩৬.১ ওভার খেলে ৮ উইকেটের বড় ব্যাধানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেনিং খেলতে আসেন কিউই দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। এ দুই ওপেনার ক্রিজে এসেই আক্রমণাত্মক ভাবে বাংলাদেশি বোলারদের মোকাবেলা করতে থাকে। কিন্তু হেনরি নিকোলস ইনিংস বড় করতে ব্যার্থ হন। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে হেনরি দলীয় ৫০ রানে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ২৩ বলে ১৪ রান করে ফিরে যায় সাজঘরে। এরপর কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়ে আবারও মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ দেন মার্টিন গাপটিল। কিন্তু আউট হওয়ার আগে প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি তুলে নেন গাপটিল (১১৮ রান)। তারপরে রস টেলরকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটুকু সেরে ফেলেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন।
সিরিজ বাচানোর ম্যাচে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হ্যাগলি ওভাল ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪ টায় মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথমে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে উইকেটে টিকে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু ধৈর্য ধরে না খেলে ট্রেন্ট বোল্টকে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে লকি ফাগুসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন লিটন। ৪ বলে ১ রান করে ফেরেন তিনি। লিটন বিদায় নেয়ার খানিক পরই ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার পর ব্যাট করতে নামলে ইনিংসের সপ্তম ওভারে ম্যাট হেনরির বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তামিম ইকবাল। ৫ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এরপর প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরুটা ভালো পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। ১৬ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের জন্য ক্রিজে থেকে লড়াই করে যাচ্ছিলেন সৌম্য এবং মুশফিক। কিন্তু ব্যক্তিগত ২২ রানে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে রস টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি।
সৌম্য বিদায় নেয়ার পরের ওভারে লকি ফারগুসনের বলে স্লিপে রস টেইলরের হাতে ১৪ রানে জীবন পান ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের ক্যাচ ছাড়ার পর লকি ফারগুসনের পরের ওভারে স্লিপে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ ফেলেন তিনি। কিন্তু জীবন পেয়েও সেটাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওয়ানডের মত দ্বিতীয়টিতেও ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। এর খানিক পর বোলিংয়ে আসা টড অ্যাস্টলকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রিয়াদ।
এদিকে মুশফিক জীবন পেয়ে কাজে না লাগাতে পারলেও সুযোগ হাতছাড়া করেন নি মিঠুন। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর সাব্বির রহমান (৪৩) ও মিথুন(৫৭) ছাড়া আর কেউই উইকেটে দাঁড়াতে পারেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২২৯/২ ( ৩৬.১ ওভার)।
ব্যাটিং: কেন উইলিয়ামসন (৬৫), রস টেলর (২১)।
বাংলাদেশ: ২২৬/১০ ( ৪৯.৪ ওভার)।
টার্গেট: ২২৭।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা , মোস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, টম ল্যাথাম (ডব্লু), জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, টড এস্টল, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট।