নিজস্ব প্রতিবেদক : ধুলিহরে চাঁদার দাবিতে মৎস্য ঘেরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আদালতে যুবলীগ নেতা সহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কওছার মালীর পুত্র ছলেমান মালী দীর্ঘদিন ধরে সুকদেবপুর এলাকার নলডাঙ্গার বিলে নিজ নামীয় ও লীজকৃত ৪৫ বিঘা জমি নিয়ে মৎস্য ঘের করে আসছেন। চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বালুইগাছা গ্রামের মৃত নবাত আলীর পুত্র আজাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ধুলিহর সানাপাড়া গ্রামের নুরমান আলীর দুই পুত্র আরশাদ আলী ও জামির আলী, বেড়বাড়ী গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মনিরুল ইসলাম, বয়ারবাতান গ্রামের নেপাল সরকারের পুত্র সাধন সরকার, একই গ্রামের মোহাম¥াদ আলীর পুত্র যুবলীগ নেতা মন্টু ও নুনগোলা গ্রামের মৃত জোহর আলীর পুত্র নাজমুল কারিকর সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন প্রকাশ্যে ছলেমান মালীর মৎস্য ঘেরে ঢুকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও জখম করে। এ সময় তারা ঘেরের বাসা, শ্যালো মেশিন ঘর ভাংচুর করে ও টাকা লুট করে। এছাড়া তারা যাওয়ার সময় ঘেরে জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক মণ মাছ ধরে নিয়ে যায়। তারা প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এই ঘটনার পরদিন সাতক্ষীরার আমলী আদালত-১ এ যুবলীগ নেতাকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- সি, আর, পি ৭১/২০১৭, তাং-০৬/০২/১৭ ইং। এদিকে, ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠায় সাধারণ এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট