দেশের খবর: ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলায় সবকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভর্তি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে এ উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুই ঘণ্টা পর ভোট গ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গতকাল রাতে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভর্তি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সকাল ১০টার দিকে ভোট স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে এই অভিযোগে প্রথমে পাঁচটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ রেখে বাকি ৮৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। পরে ৮৯টি কেন্দ্রের সব কটিতে ভোট গ্রহণ বন্ধের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সারা দেশের ২৫টি জেলার মোট ১১৭টি উপজেলায় আজ সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে এই ভোট গ্রহণ।
নয় হাজার ২৯৮টি ভোটকেন্দ্রের ৫৮ হাজার ৫২৪টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মোট ভোটার এক কোটি ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫১ জন। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৩২৩ জন। তাঁদের ভেতরে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৩৪০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৫৮৪ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৩৯৯ জন।
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট ৫৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের ভেতরে ৩৩ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, নয়জন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও ১৩ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রয়েছেন।