ডেস্ক রিপোর্ট: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা পালিয়ে বেড়িয়েছেন। দিন-রাত মিলিয়ে খুব একটা ঘুমাতেও পারেন নি। পুলিশ আর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাড়া করতে ফিরত সব সময়। অনিশ্চিত সেই জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রায় সাত শতাধিক চরমপন্থি। এর মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার ৬ জন চরমপন্থী।
মঙ্গলবার পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনউদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণ করবেন সাতক্ষীরাসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলার প্রায় সাত শতাধিক চরমপন্থি সদস্য। এ দিন বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ তারা আত্মসমর্পণ করবেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত মাসে আত্মসমর্পণের জন্য বিভিন্ন চরমপন্থি দলের ছয়শ ১৪ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছে। আশা করছি আত্মসমর্পণ কারীদের সংখ্যা সাতশ ছাড়িয়ে যাবে।
জেলা পুলিশ জানায়, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া, নড়াইল, রাজবাড়ী, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলায় সক্রিয় বিভিন্ন চরমপন্থি দলের সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করবেন। এসব দলের মধ্যে রয়েছে পূর্ববাংলার সর্বহারা, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা), নিউ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি ও কাদামাটি। আত্মসমর্পণকারীদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তারা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আত্মসমর্পণ করলেও তাদের নিয়মিত মামলা চলবে।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, চরমপন্থিরা স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পুলিশের সাহায্য চেয়েছে।পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আত্মসমর্পণের পর তাদের আত্মনির্ভরশীল করতে সরকারিভাবে আর্থিক প্রণোদনাসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আবারও তারা অপরাধে যুক্ত হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারে নজরদারি থাকবে। তিনি জানান, আত্মসমর্পণ উপলক্ষে পাবনায় বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।