দেশের খবর: নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গণভবন থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত পালিত হবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি।
আগামীকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে বসবাসরত সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতি কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) পক্ষ থেকে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুর-হকার, ছাত্র-যুব-শিশু-নারী, পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজস্ব ব্যানার নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে বলে দলটি জানিয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, মানববন্ধন চলাকালে বঙ্গভবন প্রান্তে অবস্থান গ্রহণ করবেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও গণভবন প্রান্তে অংশ নেবেন দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম। স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি সোহেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে নুসরাত হত্যাকাণ্ডসহ একের পর এক ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা, যৌন নিপীড়ন, নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতার প্রতিবাদে সবাইকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
একই আহ্বান জানিয়েছেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা, যৌন নিপীড়ন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার বিচার না হওয়ায় একের পর এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। একটি ঘটনা নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতায় আরেকটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান এক বিবৃতিতে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। তিনি সারা দেশে নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ও নুসরাত হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল বাম প্রগতিশীল দল-ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানান।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি উন্নয়নের রোল মডেল হতে চাই, ২০৩০-এর মধ্যে এসডিজির লক্ষ্য অর্জন করতে চাই, তবে এ দেশকে নারী নির্যাতনকারী, ধর্ষক ও যৌন হয়রানিকারীদের ‘স্বর্গভূমি’ নয় বরং ‘কবরস্তান’ বা ‘নরক’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।