ম্যাচের গতিপথ নির্ধারিত হয়ে গেছে দ্বিতীয় দিনেই। ভারত যখন একশর পর গুটিয়ে গেছে। পরে অস্ট্রেলিয়া লিডটা সাড়ে চারশর কাছে টেনে নিলে দেখার ছিল কতটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন বিরাট কোহলিরা। তাতে আরেকটি গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জাই মিলেছে। অজি স্পিন-তোপের সামনে প্রথম ইনিংসের থেকে অবশ্য ২ রান বেশি করেছে স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে সান্ত্বনা এই দুটি রানে বেশি করতে পারাই! জয়ে সিরিজ শুরু করা সফরকারীদের সাফল্যটি ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানের। ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের দিক থেকে দ্বিতীয়।
ম্যাচ জিততে ৪৪১ রানের পাহাড়সম বোঝার পেছনে ছুঁটতে হতো। গড়তে হতো রেকর্ড। ভারতের মাটিতে তো নয়ই, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ৪১৮ রানের। চারশর ওপরে আর মাত্র চারটি রান তাড়ার ইতিহাস আছে। সেখানে পুনের খানাখন্দ পিচ। ভারতের ইনিংসটাও তাই অসহায় আত্মসমর্পণের বিষাদমাখা গল্পই হয়ে থাকল।
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে অজিরা যখন বিজয় উল্লাসে মত্ত, তখনও প্রায় একটা সেশন বাকি। ভারতের ব্যাটসম্যানরা এলেন আর গেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৭! তাতে মুল ভূমিকা থাকল সেই স্টিভ ও’কিফেরই। এবারও ৩৫ রানে ৬ উইকেট। বল করেছেন ১৫ ওভার। প্রথম ইনিংসে ভারতকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ১৩.১ ওভারে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে ম্যাচে ১২ উইকেট ও’কিফের, ৭০ রানে। ভারতের মাটিতে যেটা দ্বিতীয় সেরার বোলিংয়ের রেকর্ড। ১৯৮০ সালে মুম্বাই টেস্টের দুই ইনিংসে ১০৬ রানে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম।
ও’কিফের সঙ্গে জ্বলে উঠেছিলেন নাথান লায়নও। ৫৩ রানে ৪ উইকেট তার। দুই স্পিনারে সামনে ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেরেছেন কেবল চারজন। সর্বোচ্চটি পূজারার ৩১! বাকিদের মধ্যে লোকেশ রাহুল ১০, আজিঙ্কা রাহানে ১৮ ও অধিনায়ক কোহলি ১৩ রান করেছেন। প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা কোহলির ম্যাচে রান এই ১৩-ই। ঘরের মাঠে দুই ইনিংসে ব্যাট করা টেস্টে তার ব্যক্তিগত সর্বনিম্ন অবদান।