বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে আজ সকাল ১০টায় ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন কে প্রধান করে ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পর্যায়ক্রমে মুক্তাকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং মুক্তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে ।
এদিকে আজ দুপুর ১ টা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা .আ ফ ম রুহুল হক এমপি বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে দেখতে আসেন। এসময় তিনি মুক্তার স্বাস্থ্য বিষয়ে খোজ খবর নেন এবং তার বাবা মার সাথে কথা বলেন। মুক্তা কে দেখে তিনি মন্তব্য করে বলেন, “মুক্তা রক্তশূন্যতা ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে, সেই সাথে বহুমুখী চর্ম রোগে আক্রান্ত বলে মনে হয়।তিনি আরো বলেন আমি যখন মুক্তার কথা শুনতে পেয়েছি তখন থেকেই তার খোজ খবর নিয়েছি এবং তার বাড়িতে আমার প্রতিনিধি হিসেবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ ‘লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, ডেইলি সাতক্ষীরা’র সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন ও সদর উপজেলা আ ‘লীগের প্রচার সম্পাদক হাসান হাদীকে পাঠাই তার খোঁজ নিয়ে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য। তাদের উপস্থিতিতে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. তহিদুর রহমান মুক্তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে আমাদের সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম নিজে গিয়ে মুক্তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। সেদিনই রাতে মুক্তাকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আমরা এক মূহুর্তও সময় নষ্ট না করে মুক্তার চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছ।”
মুক্তার চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন রুগীর চিকিৎসার সকল ব্যয় বহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখভাল করছেন। সেই সাথে আমি সাতক্ষীরার একজন সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছি এবং মুক্তার সু-চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের নির্দেশ দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আ. হ.ম. তারেক উদ্দীন, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শম্ভুজিত মণ্ডল, নলতা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম ও জবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাংবাদিক তোষিকে কাইফু।
মুক্তার রোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন জানান, শিশুটির অবস্থা তেমন ভালো না। দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। এখনও রোগটি শনাক্ত করা যায়নি।তাকে রক্ত ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। তাকে অপারেশনের জন্যে ফিট করতে আগামী দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা হলেন- ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, ইউনিটের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, একই ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার, ঢামেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলাম, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল এবং ঢামেক হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান।