খেলার খবর: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারেনি আফগানিস্তান। রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে দাপুটে জয় পেয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্বাধীন দলটি।
শনিবার প্রথমে ব্যাট করে ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। বৃষ্টি বিঘ্নত ম্যাচে ডিএল মেথডে ৪৮ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট দাঁড়ায় ১২৭ রান। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১৬ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে হাশিম আমলার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন কুইন্টন ডি কক। ৭২ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৬৮ রান করে আউট হন ডি কক। তবে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন হাশিম আমলা। এছাড়া ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন ফেহালুকাওয়ে।
এর আগে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। বৃষ্টির বাঁধা এবং ক্রিস মরিসের গতি আর ইমরান তাহিরের লেগ স্পিনে দিশেহারা হয়ে যায় আফগানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৪.১ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয় গুলবাদিন নাইবের নেতৃত্বাধীন দলটি।
শনিবার ইংল্যান্ডের কার্ডিফে টস হেরে ব্যাটিং নেমে ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান সংগ্রহ করতেই বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে যায় আফগানরা। ২৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর ফের খেলা শুরু হয়।
ইনিংসের প্রথম ২০ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৯ রান। খেলার এমন অবস্থায় ফের বৃষ্টি শুরু হয়। এক ঘণ্টা পর ফের খেলা মাঠে গড়ায়।
দুইদফা বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানদের উইকেটও পড়ে বৃষ্টির মতো। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ৩৪.১ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয় বিশ্বকাপের তুলনামূলক দুর্বল দল আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন লেগ স্পিনার রশিদ খান।
৩২ রান করেন অন্য ওপেনার নুর আলী জাদরান। ২২ রান করেন হযরতউল্লাহ জাজাই। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মাত্র ৭ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ইমরান তাহির। এছাড়া ৬.১ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন ক্রিস মরিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (রশিদ খান ৩৫, নুর আলী জাদরান ৩২, হযরতউল্লাহ ২২; ইমরান তাহির ৪/২৯, ক্রিস মরিস ৩/১৩)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (ডি কক ৬৮, আমলা ৪১*, ফেহালুকাওয়ে ১৭*)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।