খেলার খবর: প্রথমে ব্যাট করে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৪৩ রানের মাঝারি সংগ্রহ গড়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাই সহজেই এই রান টপকে যাওয়ার কথা কিউইদের। কিন্তু তা পারেনি গতবারের রানার্সআপরা। ৮৬ রানে হেরে যায় ম্যাচটি।
লর্ডসে এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে। মিচেল স্টার্ক ও জেসন বেরেনডর্ফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এই জয় পায় অসিরা। স্টার্ক ২৬ রানে ৫টি এবং জেসন ৩১ রানে ২ উইকেট পান।
উইলিয়ামসন ৪০ ও রস টেলর ৩০ রান করেও নিউজিল্যান্ডের হার এড়াতে পারেননি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু এতে যেন বিপদই ডেকে আনলেন তিনি। ১২ ওভারের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ফিঞ্চ নিজে, ওয়ার্নার এবং স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে মূল ভিত্তিটাই নেই!
৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৩ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
কীর্তি গড়েছেন বোল্ট। ৫০ তম ওভারে পরপর তিন বলে খাজা, স্টার্ক ও বেরেনডর্ফকে আউট করলেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপের এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। প্রথমটি করেছিলেন ভারতের মোহাম্মদ শামি, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। ম্যাচে বোল্ট নিয়েছেন মোট চারটি উইকেট।
পঞ্চম ওভারেই আউট হন ফিঞ্চ। তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ১৫। ১০ম ওভারে বিদায় নেন ওয়ার্নার এবং ১২ তম ওভারে আউট হন স্মিথ। ওয়ার্নার করেন ১৬ রান। ফিঞ্চ ৮ ও স্মিথ ৫ রানে বিদায় নেন।
ওয়ার্নার ও স্মিথকে ফেরান ফার্গুসন। অন্যদিকে বোল্টের বলে আউট হন ফিঞ্চ।
শেষ পর্যন্ত খাজা হাল ধরেন দলের। ৮৮ রানের ধৈর্যশীল একটি ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া কেরি এসে ৭১ রান করেন। যার ওপর ভিত্তি করে ২৪৩ করে অস্ট্রেলিয়া।
ফার্গুসন ও নেশাম দুইটি করে উইকেট পান।
সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। এরই মধ্যে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিতও করেছে দলটি। অন্যদিকে সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড।
পুরো আসরের শুরু থেকে দারুণ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। তবে গত ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড। চলতি আসরে এটাই নিউজিল্যান্ডের প্রথম হার।
এই জয়ে আট ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল অস্ট্রেলিয়া। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট তৃতীয় স্থানে রয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।