খেলার খবর: ম্যাচের শুরুর দিকে গোছানো এক আক্রমণে দলকে এগিয়ে দিলেন গাব্রিয়েল জেসুস। আর দ্বিতীয়ার্ধে রবের্ত ফিরমিনোর গোলে রাখলেন মূখ্য ভূমিকা। তরুণ এই ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল।
বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে সেমি-ফাইনালে ২-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা।
ম্যাচের শুরুতে কিছুটা এলোমেলো খেলা আর্জেন্টিনা দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। লেয়ান্দ্রো পারেদেসের আচমকা নেওয়া দূরপাল্লার শট ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে বেঁচে যায় ব্রাজিল।
সাত মিনিট পর প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় তিতের দল। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে দানি আলভেস দুজনকে কাটিয়ে সামনে রবের্তো ফিরমিনোকে পাস দেন। আর লিভারপুলের এই ফরোয়ার্ডের বাড়ানো বল ছোট ডি-বক্সের মুখে পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান জেসুস।
৩০তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা। মেসির ফ্রি-কিকে আগুয়েরোর নেওয়া হেড ক্রসবারে প্রতিহত হত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ৫০তম মিনিটে আগুয়েরোর বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে দুর্বল ভলি মারেন লাউতারো মার্তিনেস। ছয় মিনিট পর ভালো জায়গায় বল পেয়ে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো।
৫৭তম মিনিটে আবারও ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা। বাঁ দিক থেকে মেসির বাঁ পায়ের জোরালো শট পোস্টে বাধা পায়। আলগা বল পেয়ে গোলমুখে বাড়ান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার; কিন্তু পা লাগাতে পারেননি আগুয়েরো।
৭১তম মিনিটে ফিরমিনোর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আটবারের চ্যাম্পিয়ন। গোলটিতে মূল কৃতিত্ব অবশ্য জেসুসের। মাঝমাঠ থেকে ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার একজনকে কাটিয়ে বল পায়ে ছুটে একজনকে গতিতে পেছনে ফেলে এবং সবশেষ ডি-বক্সে ঢুকে আরেক জনকে ফাঁকি দিয়ে বাড়ান ডান দিকে। ফাঁকায় বল পেয়ে বাকিটা অনায়াসে সারেন লিভারপুলের ফরোয়ার্ড ফিরমিনো।