লাল শাক খেতেও যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। লাল শাক অনেকেরই প্রিয় শাক ।পুষ্টিগুণ এবং রোগ প্রতিরোধের দিক দিয়ে লাল শাকের চেয়ে অনেক দূরে অন্যান্য শাকসবজি।
প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকে আছে ৩৭৪ মি. গ্রা. ক্যালসিয়াম, ৫.৩৪ মি. গ্রা. প্রোটিন, ০.১৪ মি. গ্রা. স্নেহ, ৪.৯৬ মি. গ্রা. শর্করা। এছাড়া ভিটামিন বি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি, ক্যারোটিন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ এবং খাদ্য শক্তি তো আছেই।
ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর লালশাক। ফলে নিয়মিত এই শাক খেলে অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এতে আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমার কারণে যে অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে লাল শাক তা প্রতিরোধ করে।
লাল শাকে আছে বিটা-ক্যারোটিন। যেটি আপনার হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিকে অনেকাংশে কমিয়ে আনবে। আর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে লাল শাকের জুড়ি নেই।
যাদের দাঁতে সমস্যা আছে তারা বেশি করে লাল শাক খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এতে আছে ভিটামিন ‘সি’। আর লাল শাক দাঁত ও দাঁতের অস্থি গঠনে দারুণভাবে সাহায্য করে। দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর করে।
যেহেতু আঁশ জাতীয় অংশ খাবার তাই নিশ্চিতভাবেই খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাল শাক অনেক উপকারী। কারণ এতে ক্যালরি নেই বললেই চলে। আর ক্যালরি না থাকায় ওজন বাড়ারও ভয় নেই লাল শাকে।