চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চৌধুরী পাড়ায় দ্বিতীয় জঙ্গি আস্তানায় শেষ হয়েছে অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬। পুলিশের এই অভিযানে এক নারীসহ দু’জন আত্মঘাতী ও অভিযানে দু’জন নিহত হয়েছে।
অভিযানে দুই সোয়াট সদস্য আহত হয়েছে। আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া জিম্মি একটি পরিবারের ৫ সদস্যসহ মোট ২০ জন উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে বুধবার সীতাকুণ্ড পৌরসভার লামারবাজার এলাকায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে এক নারী জঙ্গিসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই দুই জঙ্গির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলেজ রোড এলাকার চৌধুরীপাড়ার আরেকটি জঙ্গি আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
বুধবার বিকেলে চৌধুরীপাড়ার ছায়ানীড় ভবনের নিচতলার একটি বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ভেতর থেকে জঙ্গিরা হ্যান্ডগ্রেনেড ছোঁড়ে। এতে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল সহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে বাইরে থেকে পুরো ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, ১৫ দিন আগে জঙ্গিরা ছায়ানীড় ভবনের নিচতলার বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। ওই ভবনে আরও কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকেন। বর্তমানে আস্তানার ভেতরে নারী ও শিশুসহ তিনজন আছেন। অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত জঙ্গিরা তিনটি হ্যান্ডগ্রেনেড ছুঁড়েছে।
গত ৭ মার্চ কুমিল্লায় দুই জঙ্গিকে আটক করার পর তাদের একজনকে নিয়ে ওই রাতেই মিরসরাইয়ের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২৯টি হাতবোমা, নয়টি চাপাতি, ২৮০ প্যাকেট বিয়ারিংয়ের বল এবং ৪০টি বিস্ফোরক জেল।
এরপর চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এলাকায় এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ দেয়ার নির্দেশনার কথা জানান চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।