শুভাশীষ রায়ের বলে পুল করলেন সুরাঙ্গা লাকমল, থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো সৌম্য সরকার সেটা মুঠোয় ভরলেন। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৩৮ রানে। এর পর দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো শুরু করেছে বাংলাদেশ।
২২ ওভারে বিনা উইকেটে ৮০ রান করেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ৪১ রানে খেলছেন। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার অপরাজিত ৩৩ রানে।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বাকি তিন উইকেট নেওয়ার মিশনে দ্বিতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথকে সাজঘরে পাঠিয়ে স্বস্তি ফেরালেও দিনেশ চান্ডিমাল বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় দিনও বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেঞ্চুরি করে ক্রিজ আঁকড়ে ধরে ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরতে হয়। এর পর শেষ জুটিতে সুরাঙ্গা লাকমল (৩৫) একটু মেরেই খেলেছেন। অপর প্রান্তে সান্ডাকান ছিলেন ধীরস্থির। তবে তাদের ৩৩ রানের জুটি ভেঙে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দেন শুভাশীষ।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে উইকেট নেওয়া খুব প্রয়োজনীয় ছিল বাংলাদেশের জন্য। সেই কাঙ্ক্ষিত উইকেটের তারা দেখা পায় দিনের ৮ নম্বর ওভারে গিয়ে। সাকিব আল হাসান তার ২৫তম ওভারে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথের উইকেট নেন। স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকার ক্যাচটি ধরেন।
রিভিউয়ে দুইবার জীবন পাওয়া চান্ডিমাল দ্বিতীয় দিনও প্রতিরোধ গড়েছিলেন। ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিও তিনি পান ২৪৪ বলে। তবে তার ইনিংস থামে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ হয়ে। ৩০০ বলে ১৩৮ রান করেন চান্ডিমাল।
কলম্বোর পি সারা ওভালে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ভালো নয়। কিন্তু প্রথম দিন শেষে এবার আশার আলো দেখান মুশফিকুর রহিমরা। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত ও আগ্রাসী বোলিংয়ে প্রথম দিন শ্রীলঙ্কা শেষ করেছিল ৭ উইকেটে ২৩৮ রানে। অথচ মাত্র ১৯৫ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট নিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ তিন উইকেটে ১৪৩ রান যোগ করে স্বাগতিকরা।
কলম্বোর পি সারা ওভালে এই প্রথমবার শ্রীলঙ্কার সবগুলো উইকেট পেল বাংলাদেশ। এর আগে তিনবার এ ভেন্যুতে খেলেছিল দুইদল। প্রত্যেকবারই স্কোরবোর্ড শক্তিশালী করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল লঙ্কানরা, আর বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে।