শিক্ষা সংবাদ: তিন শর্তে অস্থায়ীভাবে এমপিওভুক্ত হচ্ছে এক হাজার ৭৬৩ স্কুল ও কলেজ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমথ্যেই এমপিওভুক্তির নথিতে তাঁর সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
এবার সারাদেশের এক হাজার ৭৬৩টি স্কুল ও কলেজ এ তালিকায় স্থান পেয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ধরণ অনুসারে আলাদা আলাদা পরিপত্র জারি করা হবে। এর কারণ জানতে চাইলে এক কর্মকর্তা বলেন, অতীতে দেখা গেছে, একটি মাত্র পরিপত্রে সব প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে পরিপত্র জারি করলে কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান এমপিও না পেয়ে মামলা করলে পুরো তালিকার সব প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এবার নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আলাদা আলাদা পরিপত্র জারি করা হচ্ছে।
সংশ্নিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এবার শর্তসাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে বেসরকারি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে আগামী তিন বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে করা হচ্ছে তা। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি স্থগিত হয়ে যাবে।
শর্তগুলো হলো, এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটিকে পাবলিক পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর কমপক্ষে ৭০ শতাংশ পাস করতে হবে। ব্যর্থতায় ওই বছরই সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি স্থগিত হয়ে যাবে। তবে ভবিষ্যতে ভালো ফল করতে পারলে ফের তা চালু হবে।
এ ছাড়া পরিপত্রে আরও কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে একটি ক্লাসরুমকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম হিসেবে তৈরি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগার ভালো মানের হতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এমপিও একবার হতে পারলে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে পাঠদানের ব্যাপারে এক ধরনের গাছাড়া ভাব চলে আসে। সে কারণে এবার শর্তসাপেক্ষে এমপিওভুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে প্রতি বছর এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মনিটর করা হবে।
জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৮৬৫ কোটি টাকা। এক হাজার ৭৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলে তাতে ব্যয় হবে ৭৯৬ কোটি ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। বাকি ৬৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা মন্ত্রণালয়ের হাতে উদ্বৃত্ত থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।