নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পুত্র ও পুত্রবধুসহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বসতবাড়ি ও দোকানঘর দখল করে বৃদ্ধা মাতাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুর নুরের স্ত্রী নাজমা খাতুন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর তিন পুত্র ও এক কন্যাকে নিয়ে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলাম। ইতিমধ্যে কন্যা এবং বড়পুত্রের বিবাহ হয়েছে। বড়পুত্র মাহফুজুর রহমান (রনি) বিবাহের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কুপরামর্শে আমার কন্যা ও দুই পুত্রকে বঞ্চিত করে আমার বসতবাড়ি, কালিগঞ্জের নাজিমগঞ্জ বাজারের দোকান এবং নলতা বাজারের দোকান দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কিন্তু আমি অন্য সন্তানদের বঞ্চিত করে এধরনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করতে থাকি। এ নিয়ে অর্থলোভী বড়পুত্র রনির সাথে আমার বিরোধ বাধে। ইতিমধ্যে সে গোপনে নলতা বাজারের দোকানঘরের পজিশন বিক্রয় করে শ্বশুর বাড়ির লোকদের হাতে তুলে দেয় এবং সেখানে মৎস্যঘের করে। এরপরও আমার বসতবাড়ি এবং কালিগঞ্জের নাজিমগঞ্জ বাজারের দোকানটি দখলের পায়তারা চালাতে থাকে। এরই জের ধরে গত ১৮-০৯-২০১৯ তারিখ দুপুরে আমার মাদকাসক্ত বড়পুত্র রনি, তার স্ত্রী লতিফা খাতুন, তার শ্যালক শ্যামনগর উপজেলার খড়িতলা এলাকার শিমুল, মুকুল, শামীম, বসন্তপুরের হাড়দ্দহা এলাকার দাউদ, ফারুকসহ ১০/১৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বসত বাড়ি ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং আমার পুত্রবধু আমার চুলের মুঠি ধরে বাইরে বের করে দেয়। পরে পুত্র নামের কলঙ্ক মাহফুজুর রহমান রনি ও তার স্ত্রী মিলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে এবং আমার গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও কন্যার গলার থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং দোকানে থাকা নগদ ৬০ হাজার ৫০০টাকা লুট করে নেয়। এসময় আমার মেঝপুত্র মাহবুবুর রহমান, ছোট পুত্র মাসুদুর রহমান এবং কন্যা মৌসুমী পারভীন প্রতিবাদ করতে গেলে উল্লেখিত শিমুল, মুকুল, শামীম, দাউত, ফারুকসহ সন্ত্রাসীরা তাদের মারপিট ও গুরুতর আহত করে। এর আগেও তারা আমার এবং অন্য সন্তানদের মারপিট করে বসতবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এছাড়া বাড়িতে থাকা লক্ষাধিক টাকার গাছপালা কেটে, ঘর বাড়ি ভেঙে নষ্ট করে এবং আমার কন্যার শীøলতা হানির চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের ডাক চিৎকরে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন অসহায় মাতা। আমার বড়পুত্র মাদসক্ত হওয়ায় এবং শ্বশুর বাড়ির লোকদের কুপরামর্শে আমাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দিয়েছে এবং খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এছাড়া আমার অন্য সন্তানদেরও বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না। আমি এখন স্বামীর ভিটে ছাড়া হয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেছি। এমতাবস্থায় তিনি (নাজমা) তার মাদকাশক্ত পুত্র ও পুত্রবধুর বিচারের দাবিসহ তাদের কাছ থেকে তার দোকানঘর ও বসতবাড়ি উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##
১৯.০৯.১৯