আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কুখ্যাত রাজাকার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি বৈকারীর জহিরুল ইসলাম (টিক্কা খান) ও সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল নবজীবনের খান রোকনুজ্জামানকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ৭১ এর ঘৃণিত খুনি কসাই খালেক মন্ডল ও জল্লাদ বাকির ফাঁসির দাবিতে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ব্যানারে সোমবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা বাজারে উক্ত গণবিক্ষোভ ও সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈকারী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোতাহার হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসানুজ্জামান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য সচিব ও আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম। এসময় আরও বক্ত্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, সদর উপজেলা আ.লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, প্রচার সম্পাদক হাসান হাদী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আফাজউদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা ইমান আলী, সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুুল, কাজী জামাল উদ্দীন মামুন, আসাদুজ্জামান, আব্দুল জলিল, আমির হোসেন খাঁন চৌধুরী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইনজামুল হক ইনজা।
বক্তারা এ সময় বলেন, পাকিস্থানী পাক হানাদার বাহিনী দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে বাঙালি জাতিকে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিল। এ দেশের সোনার ছেলেরা (বীর মুক্তিযোদ্ধারা) জীবনকে বাজি রেখে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আর সে সময় পাকিস্থানী পাক হানাদার বাহিনীর সাথে আমাদের দেশের কিছু রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, আলবদর সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করেছিল। আজ সময় এসেছে তাদের বিচারের। আর এ সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, তাদের ফাঁসির দাবিতে মুক্তিযোদ্ধারা এখন সমবেত হয়েছেন। তারা বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায়, আর তাই এখনই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উপযুক্ত সময়। শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রমাণ করেছেন বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষের সরকার। স্বাধীনতাবিরোধী কাউকেই এই সরকার ছাড় দেবে না। বৈকারীর দুই কুলাঙ্গার আব্দুল খালেক ও জহুরুল ইসলাম(টিক্কা খান) এর প্রতি ইঙ্গিত করে বক্তারা আরো বলেন, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, লুটপাট, বাড়িঘর ভাংচুর করে এই এলাকাকে তারা জাহান্নামে পরিণত করেছিল। তাদের নৃশংসতায় অবুঝ দুধের বাচ্চাও মায়ের দুধ হতে বঞ্চিত হয়েছিল সে দিন।
বাংলার আপামর জনতা তাই এখন সকল যদ্ধাপরাধীর শাস্তি চায়। তাদের শাস্তির দাবিতে মাঠে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধা-জনতা। বক্তারা এ সময় যতক্ষণ না পর্যন্ত মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িতরা বিচারের আওতায় আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রাজাকার রোকন-জহিরুলের গ্রেফতার দাবিতে বৈকারীতে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশ
পূর্ববর্তী পোস্ট