স্বাস্থ্য ও জীবন: প্রাচীনকাল থেকেই দুধ মানুষের অতি প্রিয় পানীয়। শাস্ত্রে দুধকে বলা হয়েছে পৃথিবীর অমৃত। দুধ রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দিয়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখে। মূল কথা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দুধের ভূমিকা অপরিসীম। সর্বোচ্চ পুষ্টিমানের জন্যই দুধ সব খাদ্যের সেরা।
খাদ্যের প্রধান ছয়টি উপাদানই একসঙ্গে পাওয়া যায়। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম বেশি পাওয়া যায়। যা হাড়ের জন্য ও শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য খুবই প্রয়োজন। হাড়ের গঠন মজবুত করতেও দুধের ভূমিকা অনবদ্য।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না জানিয়েছেন দুধের নানা উপকারি তথ্য।
দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সহায়ক। গরুর দুধে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ক্যানসার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে দুধের শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। গরুর দুধের কম্পজিশনে পানি ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ল্যাকটোজ ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, ফ্যাট ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রোটিন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। গরুর দুধ সব পুষ্টির আধার ও শক্তির উৎস।
বিশেষ করে প্রবীণদের জন্য ননীমুক্ত দুধ বিশেষ উপকারি।
অন্তঃস্বত্ত্বা নারীদের প্রথম তিন মাস হাফ গ্লাস দুধ খাওয়া প্রয়োজন। ৬ মাস পর্যন্ত সময় এক গ্লাস ও ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত দুই গ্লাস খাওয়া খুবই উপকারি।
এছাড়া দুধে সামান্য কাঁচা হলুদ দিয়ে রান্না করলে তা শরীরের সৌন্দর্যের জন্যও বিশেষ উপকারি।
কাচা দুধের পুষ্টির পরিমাণ বিভিন্ন প্রাণীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হলেও তাতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
গর্ভবতী মহিলাদের দুধ পান করা অত্যাবশ্যকীয়।ওই সময় বাচ্চার জন্য ক্যালসিয়াম। ৯মাসের সময় দুই গ্লাস। আগের ছয় মাসের পর এক গ্লাস দুধ শিশুর শরীর গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রচলিত ধারণা মোটে দুধও ত্বকের রঙ ফর্সা করতে সহায়ক।