বিদেশের খবর: শান্তিতে নোবেল পাওয়ার পর দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ।
কিন্তু জনগণের স্বতস্ফুর্ত এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর দমনপীড়ন চালাচ্ছে সরকার ও তার নিরাপত্তা বাহিনী। ফলে চলমান বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।
ওরোমিয়া রাজ্যে জাতিগত সহিংসতায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন বলে শুক্রবার দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের (২০১৯) নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন আবি আহমেদ। শত্রু দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে শান্তি স্থাপন করে বন্ধুতে পরিণত করায় দুই সপ্তাহ আগেই তাকে এই সম্মান দেয়া হয়।
কিন্তু নোবেল পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই আবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, ওরোমিয়া অঞ্চলের সহিংসতা থেমে গেছে। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক ফিসেহা টেকল শুক্রবার জানিয়েছেন, এখনও হামলার খবর পাচ্ছেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সহিংসতাপ্রবণ সাতটি এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন করা হবে।
এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাওয়ার মোহাম্মদ। যে বিক্ষোভের জের ধরে আবি গত বছর ক্ষমতায় আসেন তাতে সমর্থন দিয়েছিলেন জাওয়ার।
কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত কয়েকটি নীতির বিরোধিতা করছেন তিনি। জাওয়ারের অভিযোগ, নিরাপত্তাবাহিনী তার বিরুদ্ধে হামলার ষড়যন্ত্র করছে। এরপরই বুধবার রাজধানী আদ্দিস আবাবা এবং ওরোমিয়া অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।