স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক: ডিমের পাশাপাশি এখন তৈরি হচ্ছে নকল চাল। নাইজেরিয়ার কাস্টমস অফিসাররা ১০২ ব্যাগ নকল চাল জব্দ করেছেন। এর মাঝে পাওয়া যায় প্লাস্টিকের চালসদৃশ গুটি। ওই ব্যবসায়ী দেশের ভেতরে এগুলো চালান দিয়ে ক্রিসমাসের সময়ে তা বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিল।
প্রায় বছরখানেক ধরে মূল্যস্ফীতি প্রতি মাসেই বেড়ে চলেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে। গত ডিসেম্বরে এক ব্যাগ চালের দাম যা ছিলো, এখন তা হয়ে উঠেছে প্রায় দ্বিগুণ। এ কারণে একদম সাধারণ খাবার জোগাড় করতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই সুযোগে কিছু মানুষ টাকা অর্জনের শর্টকাট উপায় হিসেবে কম দামে বিক্রি করার চেষ্টা করছে নিকৃষ্ট মানের এমনকি বিপজ্জনক পণ্য।
লাগোসের কাস্টমস চিফ হারুনা মামুদু জানান, তাদের কর্মকর্তারা মোট ২.৫৫ টন চাল জব্দ করে, যার ব্র্যান্ডের নাম ছিলো “বেস্ট টমেটো রাইস”। এতে কোনো ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট ছিল না। কর্মকর্তারা এই চাল সেদ্ধ করে দেখেন তা ঠিক চালের মতো নয়। ফলে তা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
দি গার্ডিয়ান জানায় মামুদুর ভাষ্যমতে: “আমরা এই চাল প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্লেষণ করি। সেদ্ধ করার পর এটা আঠালো হয়ে যায় আর মানুষ খেলে যে কি অবস্থা হতো ঈশ্বর জানেন।”
এখনো জানা যায়নি এই চাল আসলে কোথায় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নকল খাদ্যদ্রব্য তৈরিতে চীনের কুখ্যাতি আছে। এ কারণে অনেকেই আঙ্গুল তুলছেন চীনের দিকেই। ২০০৮ সালে দুধে মেলামাইন মেশানোর স্ক্যান্ডাল আমাদের সবারই জানা। এরপর ২০১১ সালে কোরিয়া টাইমসের একটি রিপোর্টে বলা হয় চীনে এমন নকল চাল তৈরি হয়। এই রিপোর্টের মতে, এই চাল তৈরিতে আলু, মিষ্টি আলু এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় এবং চীনের বাজারে প্রচুর বিক্রি হয় এই চাল।
নকল ডিমে যেমন কোনো খাদ্যগুণ নেই, বরং মানবদেহের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে, একই কথা এই চালের জন্যও প্রযোজ্য। প্লাস্টিকের উপস্থিতি যে মানুষের জন্য খারাপ, তা বলাই বাহুল্য।