আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নির্বাচন কমিশন বলেছে জ্যোতিষী বা ট্যারো কার্ড রীড করে ভোটের ফলাফলের আগাম অনুমান প্রকাশ করা যাবে না।
সংবাদমাধ্যমগুলিতেও ভোটের ফলাফল নিয়ে যেসব বুথ-ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়, সেটাও ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগে প্রকাশ করার ওপরে নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই আছে।
এক নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে এধরণের ভবিষ্যদ্বাণী জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল। তবুও সদ্য সমাপ্ত ৫ রাজ্যের নির্বাচনে কিছু সংবাদমাধ্যম এবং বেশ কয়েকজন জ্যোতিষী নিয়ম ভেঙ্গে এধরণের ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করেছে।
তাদের সতর্ক করে দিয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে আগাম সমীক্ষা প্রকাশের ওপরে যে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল, তাকে পাশ কাটিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যম ব্যবসায়িক কারণে জ্যোতিষীদের দিয়ে গণনা করিয়ে ভোটের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করেছে।
উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন জ্যোতিষী ফলাফল কী হবে, তার ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করেছিলেন।
নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব বা মায়াবতীদের জন্মকুন্ডলি বা কোষ্ঠী বিচার করেই নাকি তাঁরা আগাম ভোটের ফলাফল গণনা করে বার করে দিতে পেরেছেন বলে দাবী করেছিলেন বেশ কিছু জ্যোতিষী।
ঘটনাচক্রে কোষ্ঠীবিচার করে, তাদের দাবি মতো ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি’ অবলম্বন করে বিভিন্ন জ্যোতিষী একেক রকম ফল ঘোষণা করেছিলেন।
ভারতে জ্যোতিষীদের দিয়ে ভোটের ফলাফল নির্ধারণ এবং তা প্রকাশ করা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে।
এখন নির্বাচন কমিশন বলছে, কিছু সংবাদমাধ্যম ব্যবসায়িক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেল বা সংবাদপত্রের থেকে এগিয়ে থাকার জন্যই জ্যোতিষীদের দিয়ে ওইসব ভবিষ্যদ্বাণী করায়, যা বেআইনী।
পূর্ববর্তী পোস্ট