মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: সীমান্তবর্তী এ এলাকার ১ শত ৫০ গজ দুরে ভারতের কাটা তারের বেড়া। এ পারের কদম বিলে পাখির অভয়াশ্রম। যশোরের বেনাপোলের দুর্গাপুর কদম বিলে ঝাকে ঝাকে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পাখি। পাখির কল কাকলীতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী এলাকা। এমন অপরুপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে পাখি প্রেমী মানুষ।
বেনাপোল শহর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে দূর্গাপুর গ্রামে কদম বিল। সীমান্তবর্তী এ এলাকার ১ শত ৫০ গজ দূরে ভারতের কাটা তারের বেড়া। এ পারের কদম বিলে ৭৫ বিঘা মাছ চাষের জলাশয়ে গড়ে উঠেছে গোলাম মোশেদের পাখির অভয়াশ্রম। দূর্গাপুর গ্রামের হাজী গোলাম মোর্শেদের ভেড়ীবাধেরর জলাশয়ে সরাইল,পানকৌরি,ডংকুর,পাখির কিচির মিচিরে মুগ্ধ হচ্ছে পাখি প্রেমী মানু। পাখির অভায়রন্যে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে নারী শিশুসহ দর্শনার্থীরা।
প্রতিবছর শীতের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের অতিথি পাখি ঝাকে ঝাকে এ অভয়াশ্রমে আসে। এসব অতিথি পাখিদের কেউ যাতে ফাদ পেতে ধরতে না পারে তার জন্য এ গ্রামের মানুষ পাহারা দিয়ে থাকে। শার্শা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকেও অতিথি পাখিদের তদারকি করা হয়। গ্রাম ও শহর থেকে আসছে মানুষ অতিথি পাখির অভয় আশ্রমে-প্রকৃতির দৃশ্য ও পাখি দেখতে। সন্ধ্যায় আসে হাজার হাজার পাখি-সকালে খাদ্যের সন্ধানে বের হয়। পাখির এ অভয়াশ্রম রক্ষায় গ্রামবাসি কাজ করছেন। তবে যোগাযোগ ব্যাবস্থা খারাপ থাকায় ভোগান্তির স্বিকার হতে হয় পাখি প্রেমী মানুষের। যোগাযোগ ব্যাবস্থা খারাপ থাকায় বিষয়টি সুরাহে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানান হাজী গোলাম মোর্শেদ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্ত ডাঃ জসিম উদ্দিন বলেন শীত আসলে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আমাদের দেশে আসে। শার্শা উপজেলায় কয়েকটি অতিথি পাখির অভয়আশ্রম গড়ে উছেঠে। তবে উপজেলায় অনেকস্থানে পাখি শিখারীরা ফাঁদ ও ইয়ারগান দিয়ে করছেন পাখি শিকার। ফলে পরিবেশে বিরুপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। তবে কদমবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় পাখি সংরক্ষনে কাজ করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।