‘উত্তরবঙ্গে তোর্সা, জলঢাকাসহ চারটি নদী আছে। সেখানে পানি আছে। ফলে তিস্তার বিকল্প হিসেবে এই চারটি নদীর পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।’ রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বহুল আলোচিত তিস্তা নদীর পানিবন্টন বিষয়ে এমন সমাধান দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সন্ধ্যায় এই বৈঠক শেষে তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বাড়ির লনে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান মমতা। তিনি বলেন, তিস্তার সমস্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেছি। তিস্তায় কোনো পানি নেই। পানির অভাবে এনটিপিসির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। সেচের জন্য পানি পেতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর নামে ভবন হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার হতে পারে। তাঁদের আলোচনায় দুই বাংলায় দুই দিন পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের বিষয়টি উঠে আসে।
দিল্লি পৌঁছনোর পর শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, শনিবার রাতেই মমতার সঙ্গে কথা বলবেন। একান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথায় তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এ দিন সারা দিন ধরেই ভারত, বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। তখনও এই নিয়ে বেশ কিছু কথা হয়েছে বলে জানা যায়।
শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পর্যায়ের শীর্ষ বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা, ঋণ, মহাকাশ, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের মোট ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুপুরে ভারতের নয়া দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের (৭ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) সরকারি সফরে নয়াদিল্লী পৌঁছান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দু’দেশের বন্ধুত্বকে নতুন মাত্রা দেয়ার প্রত্যাশায় এ সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।