অনলাইন ডেস্ক: চলতি মাসের ২২ জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট (ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট) বিতরণ শুরু করবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ (ডিআইপি)। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
২২ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করবেন।
প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ি এবং উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেন (আইসিএও) এর তথ্যমতে, বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশ বর্তমানে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করছে। পাসপোর্ট বুকলেটে একটি ইলেক্ট্রনিক চিপ ব্যবহার করা হয়, যা ননইলেক্ট্রনিক পাসপোর্টের চেয়ে অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে পাসপোর্টের দুটি পেজে দৃশ্যমান বায়োগ্রাফিক্যাল তথ্য ভাণ্ডার ও একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা ফিচার থাকে। ডিজিটাল ফিচার হচ্ছে দেশের সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল স্বাক্ষর। এই ডিজিটাল স্বাক্ষরগুলো প্রতিটি দেশে একক এবং স্ব স্ব সার্টিফিকেটের মাধ্যমে এটি যাচাই করা যাবে।
বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালু এবং অটোমেটিক বর্ডার কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিলে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ১০ বছরে মোট ৩০ মিলিয়ন পাসপোর্ট সরবরাহ করবে ভেরিডোস জিএমবিএইস।
দুই মিলিয়ন পাসপোর্ট তৈরি হবে জার্মানিতে। যারা আগে আবেদন করবেন, তারা জার্মানির তৈরি পাসপোর্ট পাবেন। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ থেকে ১০ বছর। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের জন্য ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ডিআইপি এবং ভেরিডসের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।