বিদেশের খবর: ইরানে ইউক্রেনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে।
৮ জানুয়ারি উড্ডয়নের কিছু পরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে ইরানি শাসকরা ‘মিথ্যাচার’ করায় তাদের সমালোচনা করে শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিসহ অন্য পদস্থ নেতাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ এবং আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ার খবরও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এমনকি স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কয়েক স্থানে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন: ‘তারা মিথ্যা বলছে!’, ‘আমাদের শত্রু আমেরিকা নয়, আমাদের শত্রু এখানেই!’
গত ৮ জানুয়ারি ইরানের তেহরানে ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরের কাছে ১৮০ যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ইউক্রেনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বোয়িং ৭৩৭-৮০০ জেট উড়োজাহাজটি তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে পারান্দের কাছে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় উড়োজাহাজে থাকা সবাই নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা দুর্ঘটনার জন্য ইরানের ভুলে ছোড়া রকেট বা মিসাইলকে দায়ী করে আসলেও এ পর্যন্ত বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল দেশটি।
তবে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রতিশোধমূলক রকেট হামলা চালানোর ওই সময়টাতে ‘ভুল করে’ দুর্ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করে ইরান।