ন্যাশনাল ডেস্ক: ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন মেলেনি হাইকোর্টে।
তবে তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে তিনি রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী।
দুদকের একটি দল গত বছর মিরপুরের দারুসসালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে। পরে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্যপাচার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্যা বাদী হয়ে মামলা করেন। খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।