কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : যখন ঘড়ির কাটা রাত ১২টা ১ মিনিট। একুশে প্রথম প্রহর শুরু হওয়ার পূর্বেই শহীদ মিনারের আশপাশে লোকে লোকাঅরণ্য। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কালিগঞ্জ সোহরাওয়ার্দী পার্ক শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে বিনম্ম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত উদ্দিন, থানা অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন, উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি মাস্টার নরিম আলী মুন্সিসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি। পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় একটি সুরই ধ্বনিত উচ্চারিত হয়। ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সরকারি কর্মকর্তা, আ‘লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন। পরে ব্যক্তিগতভাবে অনেকে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিনের প্রথম কর্মসূচির সূচির মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বে-সরকারি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে জাতীয় অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন। ভোরে প্রভাতফেরী সহকারে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহিদ বেদিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীদের হস্তাক্ষর ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে ও শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা সভায় বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম, দিপালী রানী ঘোষ, সমাজসেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডঃ জাফরুল্লাহ ইব্রাহিম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে হস্তাক্ষর ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট