খেলার খবর: বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৩২৩ রানের লক্ষ্য পেরোতে পারল না জিম্বাবুয়ে। তবে প্রথম ওয়ানডের মতো অসহায় আত্মসমর্পণও করল না দলটি। স্বাগতিক শিবিরে রীতিমতো কাঁপন ধরাল। জিততে জিততেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হলো অতিথিদের।
মঙ্গলবার তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত হলো মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দলের।
টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩২২ রানের পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটিই টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগের সংগ্রহটি ছিল ৬ উইকেটে ৩২১। ঠিক আগের ম্যাচেই যে স্কোর করেছিল টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ৩১৮ রানে থেমেছে জিম্বাবুয়ে।
তামিম ইকবালের রেকর্ড গড়া ইনিংসের পর বাংলাদেশ আরেকটি সহজ জয় পেতে যাচ্ছে, এমনই মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের ইনিংস শেষে। জিম্বাবুয়ের রান তাড়ার শুরুটাও তেমন আশা জাগানিয়া ছিল না।
ওপেনার রেজিস চাকাভা (২), ব্রেন্ডন টেইলর (১১), শন উইলিয়ামস (১৪) ছিলেন ব্যর্থ। তবে ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামউই ৭০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেললেন। ওয়েসলি মাধেভেরেও খেললেন দারুণ। সিকান্দার রাজার সঙ্গে যার ৮১ রানের জুটি হলো। ৩৬ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৪ উইকেটে ১৮২ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
এরপর মাধেভেরে ফিরে যান তাইজুলের শিকার হয়ে। ৫৭ বলে ৫২ রান করেন তিনি ৫ চারে। সিকান্দার রাজা ফেরেন ৫৭ বলে ৬৬ রান করে। ৫ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তাতে ৪১.৫ ওভারে ২২৫ রানে ৭ উইকেটে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে।
এরপর টিনোটেন্ডা মুটুমবোদজি ও ডোনাল্ড তিরিপানো অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করলেন। শেষ ৭ ওভারে ৯৬ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। এই দুজনের ঝড়ে শেষ ওভারে সেই প্রয়োজন দাঁড়ায় ২০ রানে। আল-আমিনের করা ওভারে শেষ দুই বলে যে প্রয়োজন দাঁড়ায় ৬ রানের। শেষ পর্যন্ত আল-আমিন শেষ দুই বলে দিয়েছেন ১ রান। তাতে বাংলাদেশ পেয়েছে স্বস্তির জয়।
মুটুমবোদজি আল-আমিনের করা শেষ ওভারেই দ্বিতীয় বলে ফিরেছিলেন। ২১ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। তবে তিরিপানো অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রানে। ২৮ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
এরপর আগে তামিমের ১৫৮ রানে ভর করে বড় পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। ১৩৬ বলে ২০ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তামিম। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের ওয়ানডেতে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এদিন তামিম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন।
তামিম ছাড়া মুশফিকুর রহিম ৫৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪১ ও মোহাম্মদ মিঠুন অপরাজিত ৩২ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নেন চার্ল মুম্বা ও ডোনাল্ড তিরিপানো।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল।