বিদেশের খবর: ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় আড়াইশ’ মানুষ মারা যাওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলছে, ইউরোপ এখন করোনাভাইরাস মহামারীর কেন্দ্রবিন্দু।
ডাব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিস শুক্রবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স এ বিবিসির।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পাঁচ হাজার ৪০৩ জন মানুষ মারা গেছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়।
চীনের পর করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ইউরোপের দেশগুলোকে। বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব মহামারী ঘোষণা করেছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪০৩ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৩ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৯২০ জন।
ইউরোপের দেশ ইতালিতে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এ ভাইরাস। ইতালিতে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৬৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১ হাজার ২৬৬ জন। সমান তালে পাল্লা দিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনের, যা ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনের হিসাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর।
এ ছাড়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্পেনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থার তিন ধাপের প্রথমটি জারি করেছে স্পেন কর্তৃপক্ষ। করোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
ইউরোপ অঞ্চলে ইতালির পর স্পেনেই সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ১৩৩ জন। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৩২ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ১৯৩ জন সুস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।