বিদেশের খবর: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত সারাবিশ্ব। দেরিতে হলেও করোনার সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে ১.২ বিলিয়ন মানুষের মহাদেশ আফ্রিকাতেও।
আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে করোনায় এ পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে আট শতাধিক। তবে দিন দিন করোনা মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো মহাদেশজুড়ে।
গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। .
বিবিসি জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি বিদেশি। তবে তিনি কোন দেশের নাগরিক সেটি নিশ্চিত করেনি মিশর।
আফ্রিকায় করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় তিউনিশিয়ায়। তিনি ছিলেন ৭২ বছর বয়সী একজন নারী। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিউনিশিয়ায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ জন। তিউনিশিয়া এবং সেনেগাল সব ধরণের ধর্মীয় গণজমায়েত বাতিল করেছে।
এছাড়া এখনও পর্যন্ত করোনায় মিশরে ৭ জন, আলজেরিয়ায় ৯ জন, মরক্কোয় ২ জন, সুদান ও বারকিনা ফাসোতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাউথ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুয়েলি মখিজ ধারণা করেছেন, কমপক্ষে ৬০ শতাংশ জনসংখ্যা করোনায় সংক্রমণের আশঙ্কা আছে। আক্রান্তদের ২৪ শতাংশের সংক্রমণ তীব্র হতে পারে।
অন্যদিকে আফ্রিকার আরো দুটি দেশ চাদ ও নাইজার তাদের প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের কথা জানিয়েছে।
জিম্বাবুয়েতে প্রেসিডেন্ট ইমারসন মানাঙ্গাগওয়া করোনা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সেখানে এখনও কোনও কোভিড -১৯ আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি।
ঘানায় ফার্মাসিস্টদের পেশাদার সংস্থা স্যানিটাইজার হিসাবে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। অনেকে স্থানীয়ভাবে তৈরি জিন (আকপিটেসি) যা শতভাগ অ্যালকোহল দ্বারা তৈরি তা স্যানিটাইজারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে।