বিদেশের খবর: নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৪২৭ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ জনে। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪১ হাজার ৩৫ জন। চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৪৫ জনের।
ইতালির হাসপাতালগুলোতে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা, চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালিতে যারা নিজ থেকে হাসপাতালে এসে যোগাযোগ করছেন কেবল তাদেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হচ্ছে। এর বাইরে বিপুল জনগোষ্ঠীর অনেকেই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আসছেন না।
দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মিলানের লম্বার্ডি এলাকার এক হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স ড্যানিয়েলা কনফালোনিরি বলেন, ‘আমরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের মধ্যে আছি। হাসপাতালে কতজন মারা গেছেন সে হিসাবও আমার জানা নেই। পুরো দেশে ভাইরাসটি কী পরিমাণে ছড়িয়েছে সেটা চিন্তাও করা যাচ্ছে না।’
দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, মিলানের কবরস্থানগুলোতে জায়গা না থাকায় কাছের বারগেমো শহরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৫০ জন সেনাসদস্য ১৫টি কফিন নিকটবর্তী শহরের কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কবরস্থানের সংশ্লিষ্টরা বিপুল সংখ্যক মরদেহ সৎকারের কাজ করতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপের মুখে পড়ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মিলানের কবরস্থানগুলোতে জায়গা সংকুলান না হওয়ার মধ্যেই দেখা দিয়েছে মরদেহ দাফনকারী কর্মীর সংকট। প্রতিনিয়ত মৃতদেহ আসতে থাকায় সৎকার কাজে হিমশিম খাচ্ছেন বর্তমান কর্মীরা। করোনাভাইরাস ভয়াবহ ছোঁয়াচে হওয়ায় মৃতদের দাফনে সহায়তার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না নতুন কর্মী।